জীবন সংগ্রাম আমিনুর রহমান পর্ব - ২


ইসরাতকে দেখামাত্রই না চাইতেও আমার মাথাটা কেনো জানি নিচু হয়ে গেলো। আমি চাচ্ছিলাম সে আমাকে না দেখুক। তাঁর সাথে দ্বিতীয় বারের মতো দেখার করার কোনো ইচ্ছে আমার ছিল না কিন্তু পরিস্থিতি আমাকে হয়তো দেখা করিয়েই ছাড়বে। মাথা নিচু করলেও ইসরাত আমাকে ঠিকই চিনে নিলো। আমাকে দেখামাত্রই বলে বলে উঠল।


"আরে আমিনুল যে,আপনি এখানে কিভাবে? আর এই পোশাকে কেনো?"


আমি আবারও মাথা নিচু করলাম। হয়তো লজ্জায় কিংবা তাঁর চোখের দিকে তাকাতে ইচ্ছে করছিলো না। যে কারণেই হোক আমার তাঁর দিকে তাকাতে ইচ্ছে করছিলো না। এই মানুষটাকে প্রচণ্ড ঘৃণা করি আমি। তাঁর চোখের দিকে তাকাতেও আমার ঘৃণা হয় তবে সেটা আমি কখনো তাঁর সামনে প্রকাশ করব না। আমি সবসময় একান্ত গোপনে ঘৃণা করে যাবো তাকে,এই ঘৃণার পরিমাণটা প্রতিনিয়ত তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। সে আমার ভিতরটাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে,আমি ক্ষমা করলেও আমার ভিতরের সত্তাটা তাকে কোনদিন ক্ষমা করবে না। আমি ইসরাতের দিকে না তাকিয়ে নিচু সরে বললাম।


"দেখতেই তো পাচ্ছেন সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে আছি। তারপরও জিজ্ঞেস করার কি আছে?"


আমার কথার বিপরীতে ইসরাত বলল।


"হ্যাঁ তা অবশ্য ঠিক। তো,কেমন আছেন আপনি? অনেকদিন পরে দেখা হলো আপনার সাথে।"


আমি বিষণ্ণ মুখে বললাম।


"আলহামদুলিল্লাহ,আল্লাহ ভালো রেখেছেন। আপনি তো চাননি কখনো আমাদের দেখা হোক। যোগাযোগ করতে না করেছেন। হয়তো সৃষ্টিকর্তা আপনার কথাটা শুনেছেন। তাই এতদিন আমাদের দেখা হয়নি,কথা হয়নি।"


আমাদের কথপোকথন শুনে ইসরাতের বান্ধবীদের মাঝে একজন জিজ্ঞেস করল,"ছেলেটা কে রে?" জবাবে ইসরাত বলল।

" তেমন কেউ না,পরিচিত আর কি। আমাদের গ্রামের ছেলে। দেখা হয়ে গেলে সেজন্য একটু কথা বললাম।"


আমি শুধু ইসরাতকে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম একটা মানুষ নিজের প্রেস্টিজ রক্ষা করার জন্য কতো সুন্দর করে মিথ্যা বলতে পারে। সেদিনও সে আমাকে ছেড়ে গিয়েছিল সমাজের দোহায় দিয়ে। আজকেও সে ওই একই কারণে আমাকে প্রাক্তন হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা পাচ্ছে। আমাকে প্রাক্তন হিসেবে পরিচয় দিলে কি সত্যি সত্যিই তাঁর বান্ধবীদের সামনে তাঁর মাথা নিচু হয়ে যাবে? তাঁর বান্ধবীরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে যে সে একটা সিকিউরিটি গার্ড ছেলের সঙ্গে প্রেম করেছে। তাহলে কি ভাববো উঁচু তোলার মানুষগুলো নিম্নবিত্ত মানুষগুলোকে এখনও মানুষ হিসেবে মেনে নিতে পারেনি। ইসরাতের বান্ধবীরাও আমার দিকে কেমন যেনো নিচু মনমানসিকতা নিয়ে তাকিয়ে ছিলো শুধু একটা মেয়ে ছাড়া। মেয়েটাকে দেখে অবশ্য বোঝার উপায় নেই,সে উঁচু শ্রেণীর মানুষ নাকি নিচু শ্রেণীর মানুষ। তবে তাকে দেখে অন্তত বোঝা যায় সে একজন মানুষ। তাঁর গায়ের পোশাক গুলো ছিলো খুব নরমাল। মধ্যেবিত্ত পরিবারের সাধারণ একটা মেয়ে মনে হয়েছিল তাকে। সে হয়তো কিছুটা আচ করতে পেরেছিলো ইসরাতের সাথে আমার কিছু একটা ছিল। ইসরাতের সাথে ব্রেকআপের পরে আমার কখনো কোনো মেয়েকে ভালো লাগা তো দূরে থাক কখনো কোনো মেয়ের সাথে কথা বলার মতো সাহস হয়নি। কারণ আমি জানতাম আমার মতো তুচ্ছ একজন মানুষকে কোনো মেয়ে ভালোবাসবে না। এযুগে তাঁর যতো টাকা আর যোগ্যতা আছে তাঁর ততো ভালোবাসার মানুষ আছে। আর যাদের টাকা নেই,দেখতে অসুন্দর। তারা মন থেকে কাউকে ভালোবাসতে চাইলেও বিপরীত পাশের মানুষটা কখনো সাড়া দেয় না। সাড়া দিলেও একসময় চলে যাবে। এটা ভেবেই ইসরাত চলে যাওয়ার পর কখনো কোনো মেয়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা করিনি।

( গল্পটি পরতে পারেন )

( ভালোবাসা মানে কি শুধুই নোংরামি

ইসরাত আর তাঁর বান্ধবীরা চলে গেলো। আমিও হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। কেননা অপরিচিত এই মানুষগুলোর সামনে খুব অস্বস্তি লাগছিলো,নিজেকে খুব ছোটো মনে হচ্ছিলো। কেনো জানি মনে হচ্ছিল তাদের সামনে দাড়িয়ে কথা বলার মতো মানুষ এখনো হয়ে উঠতে পারিনি আমি। তবে ওই মেয়েটার সাথে খুব করে কথা বলতে ইচ্ছে করছিলো আমার। কিন্তু পরক্ষণেই আমার অতীত আমাকে মনে করিয়ে দিলো,মানুষকে বিশ্বাস করলেও মানুষের ভালোবাসার পরিধিটাকে বিশ্বাস করা উচিত না। কারণ মানুষের ভালোবাসার পরিধি পরিবর্তনশীল। এই পরিধিটা কখনো কাউকে এক পৃথিবী ভালোবাসা দিয়ে বুকে টেনে নিবে আবার কখনো প্রচণ্ড ঘৃণা ভরা দুঃখ দিয়ে দূরে ঠেলে দিবে। প্রথম দিকে ইসরাতও এমন ছিলো কিন্তু সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে তাঁর পরিবর্তন আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে মানুষের ভালোবাসা কখনো এক থাকে না। এটা সময়ের সাথে হয়তো বাড়বে,না হয় কমবে। আমার বেলায় কমেছে,কমতে কমতে সেটা ভ্যাকুয়ামে পরিণত হয়েছিলো। সে কারণেই আমার ভালোবাসাটা পূর্ণতা পায়নি। যদি ভালোবাসা মানুষের মাঝে সবসময় এক থাকতো,পরিবর্তন হত না। তাহলে আমার আর ইসরাতের সম্পর্কটা টিকে থাকতো।


ডিউটি শেষ করে বাসায় ফেরার সময় দেখলাম দু-তিন জন লোক একটা লোকের সাথে ধস্তাধস্তি করছে। আমি এগিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি লোকটার কাছে পৌছানোর আগেই তারা তাকে চাকু মেরে চলে গেলো। আমি গিয়ে লোকটাকে আহত অবস্থায় পেলাম। রক্ত বের হচ্ছিলো লোকটার পেট থেকে। কি করব কিছু বুঝতে পারছিলাম না। অপরিচিত হলেও মানুষটাকে কেনো জানি বাঁচাতে ইচ্ছে করছিলো। একটু এগিয়ে গিয়ে একটা সিএনজি ডাক দিলাম। তারপর তাকে নিয়ে সোজা হাসপাতালে চলে গেলাম। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম কি দরকার অচেনা অজানা একটা মানুষের জন্য এতো কষ্ট করার? হয়তো দেখা যাবে হাসপাতালের বিল গুলোও আমাকে দিতে হবে। তাঁর পরেও নিজের ভিতরের মনুষ্যত্বটা বলে উঠলো তাকে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাই। মানুষ হিসেবে যদি এটুকু না করি তাহলে নিজের কাছে নিজেকেই কখনো মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে পারব না। কিন্তু আমি নিজের কাছে সবসময় একজন মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে চাই তাই লোকটাকে না চেনা সত্ত্বেও হাসপাতালে নিয়ে গেলাম।


আমি তাকে নিয়ে যখন পৌঁছালাম তখনও সে অজ্ঞান ছিলো। তাঁর ফোনটা লক করা ছিল তাই তাঁর কোনো আপনজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারলাম না। যাসব করতে হলো নিজেকেই করতে হলো। ফিলিংসটা খারাপ না,ভালো কাজ করার মাঝে আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে। কিন্তু সমস্যা ওই একটাই। টাকার সমস্যা,এই দুনিয়াতে টাকার সমস্যা বড় সমস্যা। আর সেটা যদি আমার মতো চালচুলোহীন একটা ছেলের ক্ষেত্রে হয় তাহলে সমস্যাটা শুধু বড় না,অনেক বড়। যদিও আমি গ্রাম থেকে যে টাকাগুলো নিয়ে এসেছি সেগুলো এখনও তেমন খরচ করা হয়নি। তারপরও আজকে অনেকগুলো টাকা খরচ হয়ে গেলো। বাড়ি থেকে আসার সময় তিনলক্ষ টাকা নিয়ে ঢাকাতে এসেছিলাম। আজকে সেখান থেকে বিশ হাজার খরচ হয়ে গেলো সেটাও অজানা অপরিচিত একজন মানুষের জন্য। ডাক্তার যখন বলল চব্বিশ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরবে তখন মনটা খারাপ হয়ে গেলো। আমি আমার ফোন নাম্বার আর ঠিকানাটা দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। সারাদিন অনেক ধকল গিয়েছে তাই শরীরটা অনেক ক্লান্ত লাগছিলো। বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছি নিজেই জানি না। ঘুম থেকে উঠে দেখলাম অফিস টাইমের আর বেশি সময় বাকি নেই। তাড়াহুড়ো করে চলে যাওয়ার সময় ফোনটা রুমের মধ্যেই রেখে গেলাম। সেটা বুঝতে পারলাম শপিংমলে গিয়ে। ফোন নিয়ে গিয়েও তেমন কোনো লাভ নেই। কারণ ফোন টেপাটেপি করলে চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দিবে তাই ফোন নিলেও কখনো বের করা হয় না।

কাঁঠাল নিয়ে কি মজার ঘটনা 

দুপুরে এক ঘন্টা বিরতি দেওয়া হয়। এই সময়টাতে বাসায় গিয়ে লাঞ্চ করে আসি। যেহেতু বাহিরে খাওয়ার মতো ওতো বড় চাকরি আমি করি না সেহেতু একটু কষ্ট হলেও দুপুরের খাবারটা প্রতিদিন বাসা থেকে খেয়ে আসি। কিন্তু আজকে আর বাসায় গেলাম না। লাঞ্চ বিরতির সময় হওয়ার সাথে সাথে হাসপাতালে চলে গেলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। লোকটাকে নাকি তাঁর আপনজন এসে বাড়িতে নিয়ে গেছে। আমি ভেবেছিলাম সুস্থ হওয়ার পর তাকে সব খুলে বলব। ভালো মানুষ হলে তাঁর পেছনে আমি যে টাকাগুলো খরচ করেছি সেগুলো দিয়ে দিবে। কিন্তু সেই সুযোগ আর হলো কই? একটা ধন্যবাদ দেওয়ার প্রয়োজন মনে করল না সেখানে টাকাটা আশা করা বোকামি। যেজন্য নিজের ফোন নাম্বার আর ঠিকানাটা দিয়ে গিয়েছিলাম যাতে করে আমি না আসতে পারলেও আমার সাথে যোগাযোগ করে কিন্তু সেটাও হলো না। হয়তো লোকটা আসলেই অনেক দরিদ্র এটা বলে নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম। তবে আমার কাছে বিশ হাজার টাকা অনেকগুলো টাকা। এই টাকা দিয়ে আমার দুমাস চলে যেতো। তারপরও কিছু জিনিস না চাইতেও মেনে নিতে হয়,কিছু করার থাকে না। সবকিছু আমাদের হাতে থাকে না। তবে লোকটা যদি আমার সাথে দেখা করে বলত তাঁর টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই তাহলে হয়তো খারাপ লাগত না। কিন্তু তাঁর জন্য এতোকিছু করলাম আর সে দেখায় করল না আমার সাথে এটা ভেবেই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে অপরিচিত মানুষকে সাহায্য করায় উচিত হয়নি।


আমি হাসপাতাল থেকে সোজা ডিউটিতে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে কিছুটা সময় পেলাম। সেই সময়টাতে হালকা কিছু খেয়ে নিলাম। আমি কোনো ভাবেই কালকের ঘটনাটা ভুলতে পারছিলাম না। মানুষ কিভাবে এতোটা অকৃতজ্ঞ হতে পারে বারবার শুধু এটাই ভাবছিলাম। এমন সময় একটা কালো রঙের মাইক্রো বাস এসে শপিংমলের সামনে থামল। ভিতর থেকে লম্বা চওড়া দুজন মানুষ নেমে এসে আমাকে বলল। "আপনি কি আমিনুর রহমান?"


আমি বললাম।

"জ্বি আমি আমিনুর রহমান কিন্তু আপনারা কারা।"


আমাকে কোনকিছু বলার সুযোগ না দিয়ে গাড়িতে উঠালো তারা। আমিও কিছুক্ষণের জন্য বোকা বনে গেলাম। আমি মাইক্রোতে উঠার পর তাদেরকে বললাম।


"ভাই আমি গরিব মানুষ,ছোটোখাটো একটা চাকরি করি। আমাকে কিডন্যাপ করে আপনাদের সময় নষ্ট ছাড়া কিছু হবে না। কারণ বিনিময়ে আপনারা কিছুই পাবেন না। আমার এই শহরে কেউ নেই,আমি একা মানুষ। আর আপনারা কি মনে করে একটা সিকিউরিটি গার্ডকে কিডন্যাপ করতেছেন আমি বুঝতে পারছি না।"


আমার কথার প্রতিউত্তরে তাদের মাঝ থেকে একজন বলে উঠলো। 

"আপনি বেশি কথা বলেন। আপনাকে আমরা কিডন্যাড করেছি এটা কে বলল? আপনি চুপ করে বসে থাকুন। সময় হলেই বুঝতে পারবেন আমরা আপনাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি এবং কেনো নিয়ে যাচ্ছি।"


আমি তাদেরকে আবারও বললাম।


"ভাই দেখেন অনেক কষ্টে চাকরিটা পেয়েছি। এখন যদি আপনাদের কারণে চাকরিটা চলে যায় তাহলে অনেক বড় বিপদে পড়ব। কাজেই দয়া করে আমাকে যেখান থেকে নিয়ে এসেছেন সেখানে দিয়ে আসুন। আমার জানামতে আমি কখনো কারো সাথে এমন কিছু করিনি যে কারণে কেউ আমাকে তুলে নিয়ে যাবে। আমার মনে হয় আপনাদের কোথাও ভুল হচ্ছে। আপনারা ভুল মানুষকে নিয়ে যাচ্ছেন। পরে হয়তো ঠিক মানুষকে খুঁজে পাবেন মাঝখান থেকে আমার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।"


আমার কথা যেনো তাদের কানে ঢুকলই না। এতো কিছু বলার পরেও তাদের মুখ থেকে কোনো কথা বের হলো না। একজন মানুষ শুধু হেসে দিয়ে বলল।


"আপনি জানেন আপনি অনেক বোকা আর সহজসরল একজন মানুষ। এতো বেশি বোকা হলে তো এই শহরে টিকে থাকতে পারবেন না। এখানে টিকতে হলে মানুষকে ঠকাতে হবে। সহজসরল মানুষরা ঢাকাতে কিছু করতে পারে না। আপনাকে আমরা যার কাছে নিয়ে যাচ্ছি সে আপনাকে জবটা এমনিতেই করতে দিবে না। কাজেই আপনি আপনার চাকরি নিয়ে চিন্তা করবেন না। আর যদি আপনার চাকরি চলে যায় তাহলে সেই আপনার চাকরির ব্যবস্থা করে দিবে। কাজেই এতো টেনশন করিয়েন না। আপনাকে যদি আমরা অপহরণ করতাম তাহলে এতোকিছু বলার সুযোগ দিতাম না। হাত মুখ বেঁধে রাখতাম কিন্তু আমরা কি সেটা করেছি? করিনি। কাজেই চুপ করে বসে থাকুন। আর কোনো কথা বলবেন না।"


আমি চুপ করে বসে রইলাম। কোনো কথা বলব না বলে ঠিক করলাম। কারণ কপালে যা আছে সেটাতো বিধাতারই লেখা। আমি চাইলেও সেটা বদলাতে পারব না। তবে খারাপ লাগছে এটা ভেবেই,মাস শেষে হতে আর কয়েকদিন বাকি ছিলো। ঘটনাটা আর কয়েকদিন পরে ঘটল হয়তো প্রথম মাসের বেতনটা পেতাম। কি দুনিয়া,কালকে একজন মানুষের উপকার করলাম,আজকে নিজেই বিপদে পড়লাম।


চলবে...............

পর্ব_২

জীবন_সংগ্রাম

আমিনুর রহমান