#গল্প:- #অভিশপ্ত_জিন 

#লেখক:- #Md_Riyadul_Islam


রাতে ছাদে একা একা বসে আছি।ঘুম আসতে ছিলো না।ভাবতেছি সপ্নের সেই পরিটা যদি বাস্তবে আমার সামনে আস্ত কতই না ভালো হতো।কিন্ত সপ্ন তো সপ্নিই রয়ে যাই।সপ্ন কোন সময় বাস্তব হয় না।হঠাত পিছন থেকে আম্মুর আওয়াজ।


আম্মু:- কিরে এখানে কি করছ।(আমি তো জানি তুই কি ভাবছিস।কিন্ত তোকে এখনি কিছু বলা যাবে না)


আমি:- কিছু না আম্মু।এমনি বসে আছি।


আম্মু:- যা গিয়ে ঘুমা।


আমি:- আচ্ছা আম্মু যাচ্ছি।


আম্মু:- শোন কাল তোর এক খালাতো বোন আসবে।বাস স্টেন থেকে নিয়ে আছিস।


আমি:- আমার খালাতো বোন মানে।তুমিই তো বলছিলা তোমার এই পৃথিবীতে কেও নাই।তো তোমার আবার বোন আসলো কোথা থেকে।


আম্মু:- আমার একটা বোন ছিলো সেটা তুই যান্তি না।কারন তাদের সাথে আমাদের ঝগরা হয়ছিলো।তাই তাদের পরিচয় তোকে দেই নাই।


আমি:- ওহ...আর যে কতো রহস্য তোমার বিতোর আছে।সেটা আল্লাহ ছাড়া কেও যানে না।

ㅤㅤㅤㅤㅤগল্পগুলো ভালোবাসার

আম্মু:- চুপ বেশি বুঝিস যা এখন রুমে যা।আর কাল সকালে আলিফাকে নিয়ে আসবি।আর তার নাম্বার তোকে sms পাঠাই দিছি।


আমি:- হুম। তারপর ঘুমাতে চলে যাই।


ঘুম আসতেছে না বার বার পরটার কথা মনে পরতেছে।খুব কষ্ট করে ঘুমিয়ে পরলাম।সকাল বেলা পানির কারনে ঘুম বাঙলো।


আম্মু আম্মু বাসার সাদ ফুটো হয়ে গেছে।আম্মু আমারে বাসায়া নিয়া গেল।আম্মু বাচাও মরে গেলাম।চোখ বন্ধ করে একদমে বলে ফেললাম।হঠাত খেয়াল করলাম।আমার কান ধরে কেও টানছে।চোখ খুলে দেখি আম্মু


আমি:- আম্মু লাগছে ছারো প্লিজ।এভাবে কান টানছো কেন?😒😒😒😒


আম্মু:- কই টা বাজে দেখতো।😡😡😡


আমি:- ১০টা বাজে তো কি হয়ছে।🙄🙄🙄🙄


আম্মু:- তোকে কাল কি বলছি।🤬🤬🤬🤬🤬🤬


আমি:- আম্মু আমার মনে ছিলো না।এখনি রেডি হচ্ছি।


আম্মু:- তারা তারি কর।


তাপর উঠে ফ্রেস হয়ে চলে গেলাম বাস স্টেনে।অনেক্ষন ধরে বসে আছি।কিন্ত মাহারানীর আসার খবর নাই।হঠাত অচেনা একটি মেয়ে এসে বলল


মেয়ে:- আপনি কি রিয়াদ।


আমি শুধু হা করে তাকিয়ে আছি কারন সপ্নের পরিটা।যাকে আমি সপ্নে দেখতাম।পরিটার ধাক্কাই ঘোর কাটলো।আমতা আমতা করে বললাম


আমি:- হুম আমি রিয়াদ।


আলিফা:- আমি আলিফা আমাকে চিনছো।সরি তুমি করে বলে ফেললাম।


আমি:- ইটস ওকে।তুমি করে বলতে পরেন।


আলিফা:- না আমি একা বলবা না।তুমিও তুমি করে বলাবা।


আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে।এখন চলো বাসাই যাই(গাড়ি নিয়ে আসছিলাম তাই কোন অসুবিদা হয় নাই।বাস স্টেন থেকে বাসাই যাওয়া অনেক কষ্টের কারন কোন গাড়ি পাওয়া যাই না)


আলিফা:- হুম চলো।


তারপর আমি আর আলিফা বাসাই চলে যাই।কলিংকবেল বাজানোর সাথে সাথেই আম্মু দরজা খুলে দিলো।আলিফা আম্মু কে সালাম করলো।


আম্মু:- বউমা তোমার আসতে সমস্যা হয় নাই তো।


আমি:- বউমা মানে।🙄🙄🙄🙄🙄🙄


আম্মু:- চুপ তুই রুমে যা।(আমিও রুমে চলে আসছি)


আলিফা:- আম্মু তুমি বলো নাই আমাদের কথা।


আম্মু :- না তুই বলবি।


আলিফা:- না না আম্মু আমি কিছু বলতে পারব না।


আম্মু:- না বললে নাই।তোদের বিয়ে তোরা বুঝবি।তুই যদি রিয়াদ কে রাজি করাতে পারিস তাহলে তোদের কে বিয়ে দিবো না হলে বাদ।আর শোন রিয়াদ কে বলবি না যে সে একটা জিন আর এটাও বলবি না যে আমি তার আসল মা না।বিয়ে আগে বললে সব শেস হয়ে যাবে।


আলিফা:- ওকে আম্মু।এখন আমি রুমে যাই।


আম্মু:- যা।খুব সাবধানে থাকবি।


আলিফা:- হুম।

ㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤㅤঅনুগল্প 

তারপর আলিফা সুজা আমার রুমে চলে আসে।আমি বসে বসে ফ্রি ফায়ার খেলতেছিলাম।আমাদের স্কোডে একটা ছেলে আমাকে বট বলতেছে খেলা পারি না তাহোলে খেলতে আসি কেন?হঠাত কে যেন আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে গেলো।সামনে তাকিয়ে দেখি আলিফা


আমি:- ফোন নিলা কেন দাও গেম খেলতেছি।


আলিফা:- এখন গেম খেলতে হবে না যাও আম্মু ডাকতেছে


আমি:- আচ্ছা যাচ্ছি।কিন্ত তুমি আমার আম্মুকে আম্মু বলে ডাকো কেন?


আলিফা:- সেটা আমার ইচ্ছা।


আমি:- ওহ..(তুমি যদি আমার বউ হইতা তাহলে সারাদিন অনেক আধর করতাম)


আলিফা:- আমাকে পরে আধর কইরো এখন রুমের বাহিরে যাও।


আমি:- আলিফা কিভাবে জানলো যে আমি তাকে আধর করব বলছি।মনে মনে।


আলিফা:- সব প্রশ্নের উত্তর পাবা আর কিছুদিন পর।


আমি অবাক হয়ে আলিফার দিকে তাকালাম দেখালাম আলিফা ফোনে কার সাথে যেন কথা বলতেছে।হঠাত আমার বুকে ধুক করে উটলো।তার মানে কি আলিফা ফোনে কাউকে বলছে আধর করার কথা।বয়ফ্রেন্ড ছাড়া তো কাউকে এই কথা বলার না।তারমানে কি আলিফার বয়ফ্রেন্ড আছে আমি কই প্রেম করার আগেই ছেকা খেলাম।না এ হতে পারে না।যদি বয়ফ্রেন্ড থাকতো তাহলে প্রতি রাতে কেন আমার সপ্নে আসতো।আলিফার ডাকে ঘোর কাটলো।


আলিফা:- কি হলো দারিয়ে আছো কেন?


আমি:- হুম যাচ্ছি।তারপর আমি আম্মুর কাছে চলে আসি।


আলিফা:- (আধরের কথা টা আমি তোমাকেই বলছিলাম কিন্ত তুমি বুঝে ফেলবা তার জন্য আমি ফোন হাথে নিয়ে ভাব ধরি যে অন্য কাও কে বলছি।মনে মনে)


এভাবেই সারাদিন কেটে গেলো রাতে যখন ঘুমাতে গেলাম রখন ঘটছে আরেক ঘটনা আলিফা আমার সাথে ঘুমাব।আমি আম্মুকে বললাম আলিফা কেন আমার স্থে ঘুমাবে তখন আম্মু বললো।


আম্মু:- আলিফা একা একা ঘুমাতে পারে না।ভয় পাই।


আমি:- তো তোমার সাথে ঘুমাক আমার সাথে কি।


আম্মু:- চুপ তোর সাথেই ঘুমাবে এটাই আমার শেস কথা।যা এখন ঘুমা।


তারপর আমি আর আলিফা রুমে যাই।আমি আলিফাকে বলি।


আমি:- তুমি খাটে ঘুমাও আমি সোফাই ঘুমাই।


আলিফা:- না তুমি ও আমার সাথে খাটে ঘুমাবা নাহলে আমি আম্মু কে বলে দিবো।


আমি;- তুমি কিন্ত আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতেছ


আলিফা:- তুমি যেটা ভাবো।


তারপর আমি এক পাশে আলিফা আরেক পাশে ঘুমিয়ে পরে।মাঝ রাতে আমার ঘুম বেঙে যাই।ঘুম বাঙার পরে যেটা দেখালাম তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।আমি দেখাম।আলিফা......!


হঠাত মাঝ রাতে ঘুম বেঙে যাই।অনুভব করি কেও আমার বুকে শুয়ে আছে।হঠাত আলিফার কথা মনে পরল।ফোনের ফ্লাশ জালিয়ে দেখি আলিফা আমার বুকে শুয়ে আছে।আমার সন্দেহ টাই ঠিক।আমি আলিফাকে আসতে করে সরিয়ে দিতে চাইলাম।কিন্ত সে আমাকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে।আর বলে।


আলিফা:- প্লিজ রিয়াদ আমাকে সরিয়ে দিয়োনা।আমার খুব ভয় করছে।


আমি:- তোমার ভয় করছে তাই কি আমাকে জরিয়ে ধরতে হবে নাকি।আম্মু দেখলে কি হবে।


আলিফা:- আজ বাদে পরশু আমাদের বিয়ে।আর আম্মু দেখলে কি বলবে হুম।😡😡😡(উঠে কমর হাত দিয়ে)


আমি:- কিহ আমাদের বিয়ে মানে।😱😱😱😱


আলিফা:- হুম।তোমার আর আমার বিয়ে।এবং পরশু দিন।


আমি:- তুমি আমাকে বিয়ে করবে কেন?🙄🙄🙄🙄🙄🙄


আলিফা:- করন আমি তোমাকে ভালোবাসি।😌😌😌


আমি:- কিহ একদিনের বিতরে ভালোবাসা।কিভাবে সম্ভব।😱😱😱😱


আলিফা:- হুম।সবি সম্ভব।


আমি:- পারব না আমি আপনাকে ভালোবাস্তে।(রাগানোর জন্য)


আলিফা:- কি বললি কুত্তার বাচ্ছা।🤬🤬🤬🤬🤬🤬


আমি:- করব করব বিয়ে করব....ভয়ে ভয়ে।


আলিফা:- হুম।গুড বয়।আচ্ছা আমাকে এখন ঘুমাতে দাও


আমি:- হুম...ঘুমাও।ইশ বৃষ্টি না চাইতেই জল।প্রতি রাতে সপ্নে দেখা সেই পরিটাকে বিয়ে করতে পারব।কিন্তু সপ্নে যাকে দেখতাম সেতো পরি ছিলো।আর এটাতো মানুষ।থাক সমস্যা নাই পাইছি তো।

পরের দিন সকালে আলিফার ডাকে ঘুম বাঙলো।


আলিফা:- উঠো না কেন? (আমি কিছু না বলে আলিফাকে জুরে টান দিয়ে আমার বুকে নিয়ে এলাম।আর বললাম)


আমি:- আগে আমাকে একটু আধর কর।


আলিফা:- আগে বিয়ে হোক।তারপর যত আধর লাগে দিব।


আমি:- আচ্ছা এখন একটা কিস তো দাও।


আলিফা:- আচ্ছা ঠিক আছে একটা দিব।পরে কিন্ত আর চাইতে পারব না।


তারপর আলিফা আমাকে লিপ কিস করে পাচ মিনিট পরে ছেরে দেই।


আমি:- আমি কি হলো ছেরে দিলে কেন?


আলিফা:- যেটা দিছি সেটাই বেসি।যাও এখন ফ্রেস হয়ে আস।


আমি:- হুম..যাচ্ছি।তারপর আমি ওয়াসরুমে চলে যাই ফ্রেস হতে।খাওয়ার টেবিলে আম্মু বলল।


আম্মু:- পরশু দিন তোর বিয়ে।


আমি:- আমি সুনছি।


আম্মু:- তাহলে তো ভালোই।যা এখন খেয়ে রুমে যা।


তারপর দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে আসে।আমার আর আলিফার বিয়েটা ঠিক ঠাক মতো হয়ে যাই।আমি ছাদে ধারিয়ে আছি।আর বসর ঘরে আমার বউ বসে আছে।


আম্মু:- কিরে মামুনি কি করস।


আলিফা:- কিছু না আম্মু।


আম্মু:- শোন আজ পুর্নিমার রাত।আজ তোদের মিলনের পরে।এই লোকেট টা খুলা আসমানের নিছে।রিয়াদকে পরিয়ে দিবি।আর শোন তোদের মিলনের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত রিয়াদ কিছু বলবি না।

তারপর তাকে তোর আসল রুপ দেখাবি।এবং তাকে সব খুলে বলবি।


আলিফা:- ওকে আম্মু।তুমি কোন চিন্তা করো না।সব পারব।


আম্মু:- হুম সাবধানে কাজ করিস।


হঠাত পিচন থেকে আম্মুর ডাকে ঘোর কাটলো।আম্মু আমাকে বসর ঘরে ডুকিয়ে দিয়ে গেলেন।আমি বসর ঘরে ডুকে দেখলাম বউ আমার লম্বা ঘুমটা দিয়ে বসে আছে।আমার অস্তিত্ব টের পেয়ে খাট থেকে নেমে এসে আমাকে সালাম করলো আমি তাকে বললাম।


আমি:- তোমার জাইগা আমার পায়ে নই আমার বুকে।


আলিফা:- সত্যি আমাকে এভাবে সারা জীবন তোমার বুকে আগলে রাখবে।


আমি:- হুমরে পাগলি সারা জীবন তোমাকে আগলে রাখব।আচ্ছা চলো আমরা দু রাকাত নামাজ পরে নতুন জীবন সুরু করি।


আলিফা:- হুম।চলো


তারপর আমরা দুজন দু রাকাত নফল নামাজ পরে।আমরা খাটে গিয়ে বসি।


আলিফা:- (কাজটা খুব দ্রুতো করতে হবে।মনে মনে)


আমি:- কি ভাবতেছ।


আলিফা:- ভাবতেছি আমার বড়টা আমাকে এক্টুও আধর করে না।(কথা ঘুরিয়ে)


আমি আর কিছু না বলে।আলিফাকে জরিয়ে ধরে শুরু করে দেই।


মাঝরাতে................................!


আলিফা:- আচ্ছা চলো না ছাদে যাই।


আমি:- এত রাতে ছাদে গিয়ে কি করবা।


আলিফা:- প্লিজ চলো।


আমি:- আচ্ছা চলো।


তারপর আমরা ফ্রেস হয়ে ছাদে যাই।ছাদে যাওয়ার পরে আলিফা আমার কোলে বসে পরে।আমি আলিফার কোলে মাথা রেখে সুয়ে পরি আর আলিফা আমার মাথাই হাত বুলিয়ে দেই হঠাত আলিফা আমাকে একটা লোকেট গলাই পরিয়ে দেই।আমি বলি।


আমি:- এটার কি দরকার ছিলো।


আলিফা:- আমার ইচ্ছা হয়ছে তাই দিছি।


আমি:- ওহ...!


আলিফা:- আমি যানি না তুমি এই ব্যাপারটা কিভাবে নিবা।কিন্ত আমি যা করছি সব তোমার এবং সবার ভালোর জন্যই করছি।


আমি:- কি হয়ছে কি করছ তুমি।


আলিফা:- আগে আমার মাথাই ছুয়ে কথা দাও আমাকে কখন ছেরে যাবা না।


আমি:- কি বলতাছ এসব আবল তাবল।


আলিফা:- আগে বল কখন আমাকে ছেরে যাবা না।


আমি:- হুম।সত্যি বলতেছি আমি কখন তোমাকে ছেরে যাব না।এখন বল কি হয়ছে।


আলিফা:- আমি মানুষ না।


আমি:- কিহ...তোমার মাথা ঠিক আছে তুমি কি সব আবল তাবল বলতেছো।😡😡😡😡


আলিফা:- আমি কোন আবল তাবল বলতেছি না।আমি যা বলতেছি সব সত্য।আমি একজন পরি।


আমি:- কিহ..😱😱😱😱(তারপর আলিফা যা বলল তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।আলিফা বলল


আলিফা:- হুম এটাই সত্যি যে আমি একজন পরি আর তুমি হলা....................!


আলিফা:- হুম আমি মানুষ না আমি পরি...আর তুমি হলে এক অবিসাপ্ত জিন।


আমি:- কিহ...😱😱😱😱


আলিফা:- অবাক হওয়ার কিছু বলি নাই।


আমি:- আ..মি..জিন।(তুতলিয়ে তুতলিয়ে)


আলিফা:- তুমি শুধু অভিশপ্ত জিন না।তুমি হলে জিন রাজ্যের বাদাশাহ।


আমি:- কিহ..😱😱আমি জিন রাজ্যের বাদশাহ।


আলিফা:- তুমি আমাদের জিন রাজ্যের বাদশাহ।আগে তুমি অভিশপ্ত ছিলে।এখন তুমি মুক্ত জিন।কাল থেকেই তুমি তোমার আসল সক্তি ফিরে পাবে।


আমি:- আমি বিশ্বাস করিনা আমি যে একটা জিন।


আলিফা:- তুমি কি তার প্রমান চাও।


আমি:- হুম দাও প্রামান দাও।


আলিফা:- দেখ তোমার হাথে রাজ বংশের চিহ্ন দেওয়া আছে।


আমি আমার হাত দেখে অবাক।আমার হাথে এই চিহ্ন কই থেকে আসছে।


আমি:- আমার হাথে এই চিহ্ন কিসের।বা কই থেকে আসছে।


আলিফা:- এই টাই হলো রাজ বংশের চিহ্ন।


আমি:- না আমি বিশ্বাস করি না।তুমি হয়তো আমার হাথে এই টেটু টা আখছো।


আলিফা:- আমি কি ভাবে আখবো।এই টেটু আমি কেন পুরো জিন রাজ্যের কেও পারবে না।


আমি:- না তুমি হয়তো কোন চালাকি করতেছো।


আলিফা:- আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না তো তাহলে চলো আমার সাথে।।


তারপর আলিফা আমাকে নিছে আম্মুর রুমের সামনে নিয়ে যাই।


আমি:- আমাকে এখানে নিয়ে এলে কেন


আলিফা:- চুপ করে দারিয়ে থাকো।


আমি:- ওকে।


তারপর আলিফা আম্মুকে ডেকে উঠালো।আমরা সবাই সোফাই একসাথে বসে আছি।আম্মু বললো


আম্মু:- আজ থেকে কয়েকশো বছর আগের ঘটনা।তখন আমরা সবাই।একসাথে জিন রাজ্যে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতাম।এখন চুপ করে আমার কথা শোন।আমরা খুব সুখে-শান্তিতে বসবাস করতাম।একদিন খুব বৃষ্টি এবং জর তুফান আসতে ছিলো।হঠাত কে জেন বাহির থেকে দরজাই আওয়াজ করতেছিলো।প্রহরীরা গিয়ে দরজা খুলে দেখে রুদ্র দারিয়ে আছে।প্রহরীরা তাকে ভিতরে ঢুকতে দিলো কারণ আগের থেকেই তাকে আমরা চিনতাম।তখন তোর আব্বু বলল 


আব্বু:- আরে রুদ্র যে কি মনে করে হঠাৎ এখানে এলি।


রুদ্র:- না মানে আঙ্কেল বাহিরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল তাই আসলাম।


আব্বু:- ও আচ্ছা বাবা ভিতরে যা।গিয়ে ফ্রেশ হইয়া আই এক সাথে খাব সবাই মিলে।


রুদ্র:- ওকে আঙ্কেল।


তারপর রুদ্র গেস্টরুমে চলে যায়। এই বাড়িতে আরো আগে অনেক আসছিল তাই সবকিছু চিনে।তারপর আমরা সবাই মিলে একসাথে।রাতে খাবার খাই।রুদ্র মাঝে মাঝে তোর ফুফুর দিকে।নেশাক্ত চোখে তাকাচ্ছিল।ব্যাপারটা তোর ফুফু বুঝে ফেলে তাই সে না খেয়ে চলে যাই।তারপর আমরা সবাই খেয়ে যার যার রুমে চলে যাই।রুদ্র চলে যায় গেস্টরুমে।


হঠাৎ মাঝ রাতে তোর ফুফুর চিল্লানোর আওয়াজ শুনে আমরা সবাই তোর ফুফু রুমের সামনে চলে যাই।তোর ফুফু চিল্লিয়ে বলতাছে রুদ্রর হাত থেকে আমাকে বাচাও।তারপর তোর আব্বু রুমের দরজা বেঙে বিতোরে যাই গিয়ে দেখি তোর ফুফু খাটের নিচে পরে আছে..আধা উলঙ্গ অবস্তাই।তারপর দাসিরা গিয়ে আয়েশাকে মানে তোর ফুফুকে ভালো ভাবে কাপর পরাই।মাথাই পানি ডালার অনেক্ষন পরে আয়েশার জ্ঞান ফিরে।জ্ঞান ফিরতেই আয়েশা তোর আব্বুকে জরিয়ে ধরে বলে আব্বু আমাকে বাচাও ওই রুদ্র আমাকে বলেই কেদে দিছে।


তোর আব্বু:- প্রহরী রুদ্রকে যেখান থেকে পারো সেখান থেকেই ধরে নিয়ে আস।তারপর প্রহরীরা চলে যাই রুদ্রকে ধরতে।আর এদিকে আয়েশাকে গোসল করানো হয়।সে তখন কাদতেছিলো পরে আমরা অনেক শান্তনা দিয়ে আয়েশার কান্না থামাই।


কিছু দিন পরে রুদ্রকে ধরে নিয়ে আসে প্রহরীরা।রুদ্রকে শাস্তি দিবে বলে।পুরো জিন রাজ্যের সবাইকে ডাকা হয়।পুরো জিন রাজ্যের সবাই বলে রুদ্রকে মৃত্যুদন্ড দেওয়ার জন্য বলে।রুদ্রকে মিত্যুদন্ড দেওয়ার জন্য যেই ফাসির দরিতে নেওয়া হয় তখনি রুদ্র অদৃশ্ব হয়ে যাই সবাই অবাক হয়ে যাই এমন দৃশ্ব কেও কখন দেখে নাই।যে ফাসির মন্সো থেকে কেও অদৃশ্ব হয়ে যেতে।হঠাত ভয়ংকর হাসির আওয়াজে সবার ঘোর কাটে।সবাই রুদ্রকে দেখে ভয় পেয়ে যাই।রুদ্রর বিচ্ছিরি শরির দেখে।কি ভয়ানোক তার শরিরের গন্ধ।শরিরে পাচা মাংস থেকে রক্ত পরতেছে।কেও কেও তো রুদ্রকে দেখেই অজ্ঞান হয়ে যাই।প্রহরীরা রুদ্রকে যেই ধরতে যাবে।তখনি রুদ্রর হাতের ইশারাই সব প্রহরীর শরির ছিন্নভিন্ন হয়ে যাই।তখন রুদ্র ভয়ানোক হাসি দিয়ে বলে।


রুদ্র:- এই জিন রাজ্যের এমন কোন শক্তি নাই যে আমাকে মারবে।পুরো জিন রাজ্য যদি একসাথে আসে তাহলেও আমার কিছু করতে পারবে না।কারন আমি হলাম কাল রুদ্র।কয়েকশো শয়তানের শক্তি একসাথে আমার শরিরে আছে।


হঠাৎ রুদ্র এরকম কান্ড করবে তা কেউ কখনো ভাবিনি। রুদ্রর কান্ড দেখে সবাই মাথা নিচু করে ফেলল।রুদ্র আয়েশাকে.................!


রুদ্র:- এই জিন রাজ্যের এমন কোন শক্তি নাই যে আমাকে মারবে।পুরো জিন রাজ্য যদি একসাথে আসে তাহলেও আমার কিছু করতে পারবে না।কারন আমি হলাম কাল রুদ্র।কয়েকশো শয়তানের শক্তি একসাথে আমার শরিরে আছে।


আব্বু:- তোকে আমরা কত বিশ্বাস করছিলাম...আর তুই কি না।তোর বাপের মতোই হলি।


রুদ্র হা....হা...ভয়ংকর হাসি দিয়ে বলল


রুদ্র:- বিশ্বাস...হা..হা...আমার বাবা তোকেও অনেক বিশ্বাস করছিলো।কিন্তু তার সাথে তুই বিশ্বাস ঘাতকতা করছিস।


আব্বু:- তোর বাবার সাথে আমি বিশ্বাস আঘাতকতা করি নাই।উল্টো তোর বাবা আমার সাথে বিশ্বাস আঘাতকতা করছে।


হটাত রুদ্র চোখ যাই আয়েশার উপর।নেশাক্ত চোখে তাকিয়ে বলে।


রুদ্র:- সেদিন তোকে সেখানেই শেস করে দিতাম।কিন্ত পারি নাই।এখন কই যাবি।হা..হা..ভয়ংকর হাসি দিয়ে।


আব্বু:- প্লিজ তুই আয়েশাকে কিছু করিস না।


রুদ্র:- বেশি কিছু করব না।শুধু মাত্র....(নেশাক্ত চোখে)


তারপর রুদ্র যা করল তা কেও কখন কল্পনা করতে পারে নাই।রুদ্র আয়েশাকে হাওয়াই বাসিয়ে সবার সামনে আয়েশার কাপর খুলে ধর্ষণ করতে থাকে। তোর আব্বু রাজা হওয়া সত্যেও কিছু করতে পারছিলো না।যে রুদ্র বিরুদ্ধে যেতা চাইছিল তাদের সবাইকে মেরে ফেলে।


তারপর আয়েশাকে ধর্ষণ করার পর।আয়েশাকে মেরে আয়েশার শরির ছিন্নভিন্ন করে ফেলে।আর বলে যে এখন থেকে এই জিন রাজ্য শুধুই তার।এই বলে রুদ্র গায়েব হয়ে যাই।তখন সবাই মিলে আয়েশার ছিন্নভিন্ন শরির টাকে এক করে।


তারপর আয়েশাকে জানাযা দেওয়া হয়।তখন থেকেই জিন রাজ্যে নেমে পরে অশান্তি আর নির্যাতোন।সেই নির্যাতন থামানোর জন্য তোর বাবা।জিন রাজ্যের সবচে বড়ো কবিরাজের কাছে যাই।কবিরাজের সাথে দেখা করার পর কাবিরাজ যা বলে তা শুনে তোর বাবার মাথা নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো অবস্তা।কবিরাজ বলেন।


কবিরাজ:- আপনার ছেলে ছাড়া এই কাল রুদ্রকে কেও শেস করতে পারবে না।


তোর আব্বু:- কিন্তু আমার ছেলে তো ছোট এখনো ছোট সে কি ভাবে শেস করবে ওই কাল রুদ্রকে।


কবিরাজ:- আপনার ছেলে এখন একজন অভিশপ্ত জিন।


আব্বু:- কি বলছেন এগুলো😱😱😱😱


কাবিরাজ:- হুম।আপনার ছেলে একজন অভিশপ্ত জিন।


আব্বু:- কে আমার এই ছোট্ট ছেলেকে অভিশাপ দিছে।(কেদে কেদে)


কাবিরাজ:- রুদ্রর বাবা।


আব্বু:- প্লিজ বাবা আমার ছেলেকে অভিশাপ মুক্ত করুন।


কবিরাজ:- আপনার ছেলের যখন ২০০ বছর পুরন হবে।সেদিন আপনার ছেলেকে বিয়ে দিবেন।বিয়ের আগ পর্যন্ত যেন সে জানতে না পারে সে একটা জিন।আপনি এখন আপনার ছেলেকে নিয়ে এই জিন রাজ্য থেকে চলে যাবেন।


আব্বু:- আমি চলে গেলে এই জিন রাজ্যের কি হবে।


কাবিরাজ:- যেই পর্যন্ত আপনার ছেলে বড়ো না হবে সেই পর্যন্ত এই জিন রাজ্যে কোন শান্তি মিলবে না।আর আপনি যে চলে যাবেন সেটা যেন কেও যান্তে না পারে।জানলে আপনাদের ক্ষতি হতে পারে।আর নিশ্চিত থাকুন আপনার ছেলেকে কেও কিছু করতে পারবে না।কারন আপনার ছেলে এখন মানুষ হয়ে আছে।২০০ বছর পরে সে জিন হবে শুধু জিন না জিনদের বাদশাহ হবে।কাল রুদ্রর থেকেও শক্তি-শালি হবে সে।এখন আপনারা যত তারা তারি পারেন এই জিন রাজ্য ছেরে চলে যান।না হলে আপনাদের অনেক ক্ষতি হতে পারে।


আব্বু:- আচ্ছা ঠিক আছে আমরা আজ রাতেই চলে যাব।


তারপর তোর আব্বু কাওকে কিছু না বলে।জিন রাজ্য থেকে চলে আসে এই পৃথিবীতে।আমরা পৃথিবীতে আসার পরে অনেক সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে থাকি।হঠাত একদিন কি কাজে যেন জিন রাজ্যে যাই তোর আব্বু সেই যে গেছিলো কিন্তু এখন পর্যন্ত ফিরে আসে নাই।তারপর আস্তে আস্তে তোকে মানুষ হিসাবে বড়ো করতে থাকি।আর আজ তোর ২০০ বছর পুরন হলো।এখন তুই অভিশাপ মুক্ত হয়ে চিস।তোর খুব দ্রুত জিন রাজ্যে যেতে হবে।


আমি:- ওকে যাব জিন রাজ্যে খুব দ্রুতো জাব।


আলিফা:- আমিও যাব জিন প্লিজ আমাকে নিয়ে যাবা।


আমি:- তুমি তো যাবা।না হলে আমি জিন রাজ্য চিনব কি করে।


আম্মু:- যা এখন তোরা ঘুমা সকাল হলে আমরা সবাই জাবো জিন রাজ্যে।


আমি:- জি না তা হচ্ছে না।তোমার জিন রাজ্যে যেতে হবে না।আগে ওই শয়তান কাল রুদ্রকে শেস করি তারপর তোমাকে নিয়ে যাবো।


আম্মু:- ওকে যা ভালো মনে করিস।


আমি:- আচ্ছা আম্মু তুমি এখন ঘুমাও আমরা এখনি চলে যাচ্ছি।


আম্মু:- না কাল সকালে যাবি।


আমি:- প্লিজ আম্মু।


আম্মু:- আচ্ছা যা।


আমি:- তাহলে তুমি এখন ঘুমাও।আমরা যাই।


তারপর আমি আর আলিফা ছাদে চলে যাই


আলিফা:- যাবা কি ভাবে।


আমি:- কেন তুমি না পরি।


আলিফা:- পরি তো কি হয়ছে।🙄🙄🙄🙄


আমি:- এখন তোমার ওই দুটি পাখা মেলেবা।আমি তোমাকে জরিয়ে ধরব।আর তুমি আমাকে ওই মেগের উপর নিয়ে যাবা।


আলিফা তার পাখা দুটি বের করে বলতাছে।

আমাকে এখন জরিয়ে ধরো।


আমি আলিফাকে জরিয়ে ধরলাম।আর আলিফা আমাকে আস্তে করে উরিয়ে নিয়ে ভেলো ওই মেগের উপরে।পৃথিবীটা দেখতে অনেক সুন্দর মনে হয়তাছিলো।অনেক ক্ষন উরার পরে অনেক সুন্দর একটা বাড়ির উপর এসে নামলাম।


আমি:- এখানে নিয়ে আসলে কেন?


আলিফা:- আরে বুদ্ধু এটা আমার বাসা।


আমি:- এই একদম আমাকে বুদ্ধু বলবা না।আমি হলাম জিনদের বাদশাহ।


আলিফা:- তুমি জিনদের বাদশাহ হতে পারো কিন্ত তুমি মনে রেখো তুমি আমার জামাই।


আমি:- হুম বুঝছি বউ।কিন্তু তুমি আমাকে তোমাদের বাসাই এনে ছাদে দার করিয়ে রাখছো কেন?তারপর নিছে গিয়ে যা দেখলাম তা দেখে তো অবাক।নিচে গিয়ে দেখি.............!


ছাদ থেকে নিচে নেমে যেই বাসার গেটের সামনে পা রেখলাম পুরো বাসা আলোকিত হয়ে গেছে।লাল নিল বাতি দিয়ে সাজানো।বাসাটা অনেক সুন্দর দেখা যাইতে ছিলো।


আমি:- এটা কি তোমাদের বাসা।😱😱😱


আলিফা:- হুম আমাদেরিতো বাসা কেন কি হয়ছে।


আমি:- না মানে এতো সুন্দর বাসা।তাই বলতেছিলাম।


আলিফা:- আমাদের বাসা থেকে তোমাদের বাসা অনেক সুন্দর।


আমি:- হুম।


আলিফা:- আচ্ছা চলো ভিতোরে যাই।


আমি:- হুম।


আলিফা:- কি হলো আসো না কেন তখন থকে শুধু হুম হুম করে যাচ্ছো।😡😡😡


আমি:- না মানে ভিতোরে গেলে যদি তোমার আম্মু আমাকে ঝাড়ু দিয়ে দৌরান দেই।(রাগানর জন্য বললাম আপনারা কেও বলে দিয়েন না)🤣🤣🤣🤣🤣


আলিফা:- কি বললা।🤬🤬🤬🤬🤬


আমি:- আমি আবার কি বললাম চলো ভিতোরে যাই।🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄


আলিফা:- আচ্ছা চলো।


তারপর আমরা ভিতোরে যাই।সেদিনের মত রাতটা সেখানেই পার করি।পরের দিন সকালে চলে গেলাম।সেই কবিরাজের কাছে।আমাকে দেখেই তিনি বিজয়ের একটা হাসি দিলেন।আমি তাকে সালাম দিলাম।সে সালামের উত্তর নিলো।


কবিরাজ:- আমি জানিতাম আজ তুমি আমার কাছে আসবেই।তাই তোমার সব কিছু আমি তৈরি করে রাখছি। 


আমি:- বাবা আপনি বলুন কিভাবে আমি ওই কাল রুদ্রকে শেস করবো।


তারপর কাবিরাজ বাবা আমাই একটা তলোয়ার দেই আর বলে।


কবিরাজ:- এই তলোয়ার দিয়েই কাল রুদ্রকে শেস করতে পারবে।


আমি:- বাবা রুদ্র এখন কই আছে।


কাবিরাজ:- রুদ্র এখন রাজপ্রাসাদে আছে।


আমি:- আচ্ছা বাবা তাহলে আমি এখন যাই।


কবিরাজ:- রাজপ্রাসাদের সামনে গিয়ে পুরো প্রাসাদের চার পাসে এই তলোয়ার দিয়ে দাক দিয়ে দিবা তাহলে কোন জিন বা শয়তান তোমার অনুমতি ছাড়া বাহিরে বের হতে পারবে না।


আমি:- ওকে বাবা।


তারপর সেখান থেকে আলিফাকে বাসাই আমার সাথে নিয়ে প্রাসাদে আসি।আলিফাকে বাহিরে রেখে আমি আসতে আসতে প্রাসাদের সামনে যাই এক ভিখারির বেশ ধরে।কেও যেন সন্দেহ করতে না পারে।পুরো প্রাসাদ তলোয়ারের দাক দিয়ে ভিতোরে ডুকালাম।প্রহরিরা বাদা দেওয়ার চেষ্টা করছিলো তাদের সবাইকে মেরে ফেলি।


ভিতোরে ডুকার সাথে সাথে অনেক গুলো প্রহরি আমাকে আটকে ফেলে।আমি চাইলে তাদের সবাইকে এখনি মেরে ফেলতে পারতাম।কিন্তু তাদের কে এখনি মেরে ফেললে খেলা জম্বে না।তাই তাদের কে বাচিয়ে রাখছি।হঠাত বিকট শব্দে প্রাসাদ কাপতে থাকে।একটা কালো ছায়া আমার সামনে আসে।কালো ছায়া থেকে কিছু একটা জানুয়ারের রুপ ধারন করে।জানুয়ারটার শরির থেকে বিশ্রী গন্ধ আসতে থাকে।আমি তখনি বুঝে ফেলছি যে এটাই সেই সেই কাল রুদ্র।


রুদ্র:- আমি জানতাম তুই একদিন আসবি।তাই তোর অপেক্ষাই ছিলাম।তোর বাবাকে বন্দি করে রেখে তোদের কথা যান্তে চাইছিলাম কিন্তু তোর বাপ কিছুই বলে নাই।তোকে অনেক খুজছি কিন্তু পাইনাই।পুরো জিন রাজ্য তন্য তন্য করে খুজছি কিন্তু পাই নাই।


আমি রহস্য ময় হাসি দিয়ে বললাম।


আমি:- আমি কই ছিলাম এই জন্মে তুই জানতে পারবি না।


রুদ্র:- আমার না জানলেও চলবে কারন তোকে তো এখন আমার হাথে মরতে হবে।আচ্ছা তোর কোন শেস ইচ্ছা থাকলে আমাকে বলতে পারিস।


আমি:- আমি আমার বাবাকে শেস দেখা দেখতে চাই।(ভিতু গলাই)


রুদ্র:- আচ্ছা ঠিক আছে ওই ওর বাপকে নইয়ে আই।


তখনি কিছু প্রহরী একটা লোক কে নিয়ে আসে।আর বলে এটাই নাকি আমার বাবা।আব্বুকে দেখে চোখে পানি চলে আসে।আব্বু একদম শুকিয়ে গেছে।তখনি রুদ্রর ডাকে ধ্যান কাটছে।


রুদ্র:- দেখা শেস হয়ছে।


আমি:- হুম আমার দেখা শেস হয়ছে এবার তুই দেখে নে।রুদ্র যখনি আব্বুর দিকে তাকাইছে তখনি আমি আব্বুকে আমার শক্তি দিয়ে প্রাসাদের বাহিরে পাঠিয়ে দেই।রুদ্র তার প্রহরীদের বলে আব্বুকে ধরে আনতে। কিন্তু তারা ব্যার্থ হয়ে ফিরে আসে। রুদ্র আমাকে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে যাই কারন সে জানে আমার শক্তির সাথে সে পেরে উঠবে না।তাই সে তার প্রহরীদের বলে আমাকে মেরে ফেলার জন্য। প্রহরীরা আমাকে মারতে আসছিলো কিন্তু তারা কেও বাচতে পারে নাই।সবাইকে আমি মেরে ফেলি। তখন রুদ্র কিছুটা ভয়ে ভয়ে বললো 


রুদ্র:- তোর কতো বরো সাহস তুই আমার প্রহরীদের মারিস।


আমি:- তুই সাহসের কি দেখলি এখন তো আমি তোমে মারবো।


এরপর শুরু হয় আমার আর রুদ্রর যুদ্ধ আমি কিছুতেই পেরে উটছিলাম না রুদ্রর সাথে তখনি আমার কবিরাজের দেওয়া তলোয়ারটার কথা মনে পরে।তারপর সেই তলোয়ারটা দিয়ে চিরোতরের জন্য কাল রুদ্রকে মেরে ফেলি।এবং মুক্ত করি জিন রাজ্য কে কাল রুদ্রর হাত থেকে।রুদ্রকে যখন মারি সে মরার আগে বলছে সে আবার আসবে।তখন আমি বলি। i am waiting for next session.....!তারপর পুরো জিন রাজ্যে আবার নেমে আসে সুখের বন্যা।পৃথিবী থেক আম্মুকে নিয়ে আসি।আর আমি হয়ে যাই জিনদের বাদশাহ।সকল জিন আমাকে জমের মতো ভয় পাই।ভালো জিনদের কাছে আমি একজন বন্ধুর মতো আর খারাপ জিনদের কাছে আমি একজন জমের মতো।


৫ বছর পর.......................!


আলিফা:- কি করতাছো এগুলা।


আমি:- কেন একটু আধর করতাছি।


আলিফা:- বাচ্চারা দেখলে বুঝতে পারবা।কেমন লাগে।


আমি:- আরে দেখলে কিছু হবে না।


আলিফা:- অলরেডি দেখে ফেলেছে।


আমি:- মজা কইরো না তো একটু আধর করতে দাও।


আলিফা:- আচ্ছা আগে একটু পিচে তাকিয়ে দেখ।


আমি মুখে বিরক্তিকর ছাপ নিয়ে পিচনে তাকাই দেখি দুজনেই কোমরে হাত দিয়ে দারিয়ে আছে।তখনি শুরু হয় একশন।মানে মাইশা আমার মেয়ে তার মায়ের চুল ধরে টানা টানি শুরু করছে।আর উমর মানে আমার ছেলে আমার চুল ধরে টানা টানি শুরু করছে।আপনারা হয়তো কিছু বুঝতেছেন না।চলুন ফ্লাস ব্যাকে যাই।চার বছর আগে আমাদের এক সাথে দুটি সন্তান হয় একটি ছেলে আর একটি মেয়ে। মেয়েটির নাম দেই মাইশা ইসলাম আর ছেলেটির নাম আবদুল্লাহ বিন উমর। মাইসা যখন আমার কাছে থাকতো তখন সে একটুও কাদতো না।আর উমর যখন তার মায়ের কাছে থাকত তখন একটুও কাদতো না।আর তাদের সবছে বড়ো সমস্যা হচ্ছে আধর।আমার আধর শুধু মাইসা পাবে আর আলিফার আধর শুধু উমর পাবে। তাদের জন্য আমি একটুও আলিফাকে আধর করতে পারি না। আমাকে আর আলিফাকে যদি এক সাথে দেখে ফেলে তাহলে শুরু হয় তাদের একশন মাইসা তার মার চুল ধরে টানা টানি শুরু করবে আর উমর আমার চুল ধরে।আমাদের মারা শেস হলে তখন শুরু হয় তাদের ঝগরা।


বেচে থাকুক সব ভালোবাসা।পুর্নতা পাক সবার মনের আকাঙ্ক্ষা গুলো।


!..................................সমাপ্ত....................................!